প্রকাশিত: ০৮/১০/২০২১ ৭:৩১ পিএম

ফ্রান্সের সিনেটের পর এবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টও জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি) নামে পরিচিত মিয়ানমারের বিকল্প সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেছে। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ইউরোপীয় পার্লামেন্টে মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতিবিষয়ক এক প্রস্তাবে দেশটিতে চলমান সংকট নিরসনে এনইউজিকে যুক্ত রাখতে আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সব পক্ষকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
মিয়ানমারের ধর্মীয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পরিস্থিতিসহ দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রস্তাবটির পক্ষে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৬৪৭ সদস্য ভোট দেন। বিপক্ষে ভোট দেন দুজন। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন ৩১ সদস্য। প্রস্তাবে মিয়ানমারে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি বিক্ষোভ-প্রতিবাদকারীদের দমন-পীড়নের ঘটনায় দেশটির সামরিক সরকারের নিন্দা জানানো হয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হামলার এসব ঘটনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছেন পার্লামেন্টের সদস্যরা। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁরা দেশটির ধর্মীয় নেতাদের আটক-গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও আটকের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে অজুহাতে অভ্যুত্থান করেছে, তার সত্যতা খুঁজে পাননি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা। অভ্যুত্থান-পরবর্তী যেসব অভিযোগ জান্তা করেছে, তারও সত্যতা পাননি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা। ফলে তাঁরা মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার এনইউজিকে স্বীকৃতি দিতে একটি প্রস্তাব পাস হয় ফ্রান্সের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে। প্রস্তাবে মিয়ানমারে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি দেশটিতে শান্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বার্থে বিকল্প সরকারকে স্বীকৃতি দিতে ফ্রান্স সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

মিয়ানমারের সেনাশাসক জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সরকারকে এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সদ্য সমাপ্ত অধিবেশনেও মিয়ানমারের আসনটি ফাঁকা ছিলো। নভেম্বরে জাতিসংঘে মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের বিকল্প সরকারকে বিদ্যমান সংকট নিরসনে যুক্ত করার আহ্বান আন্তর্জাতিক পরিসরে এনইউজি’র স্বীকৃতির বিষয়টিকে জোরালো করে তুলছে। দু’টি দেশের পার্লামেন্টে মিয়ানমারের বিকল্প সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা। সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আট মাস আগে মিয়ানমারে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা হয়।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে আসিয়ান

রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় মিয়ানমারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। পাশাপাশি ...

ফিলিস্তিনপন্থি গ্রুপকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন টিউলিপ

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রো-প্যালেস্টাইন কর্মসূচির সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবে ...